মাদকের টাকা না পেয়ে নিজের মাকে কুপিয়ে খুন, ১৮ ঘন্টার মধ্যে পাষন্ড সন্তানকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মাদকের টাকা না পেয়ে নিজের মাকে কুপিয়ে খুন, ১৮ ঘন্টার মধ্যে পাষন্ড সন্তানকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদকের টাকা না পেয়ে নিজের মাকে কুপিয়ে খুন, ১৮ ঘন্টার মধ্যে পাষন্ড সন্তানকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
“বাংলাদেশ আমার অহংকার”- এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকাল থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিলগ্ন থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেপ্তার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এছাড়াও, বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব ইতোমধ্যে জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ২৭ মে ২০২৫ তারিখ দুপুরে ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন শরীফবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আশুলিয়ার ভাটিয়াকান্দিতে কাস্তে দিয়ে কুপিয়ে ছেলে কর্তৃক মাকে হত্যাকাÐের প্রধান আসামী মোঃ আওলাদ হোসেন (২৮)’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নিহত ভিকটিম সুফিয়া (৬৫) স্বামী সহ তার ছেলে গ্রেফতারকৃত আসামী আওলাদ হোসেন এর সাথে আশুলিয়া থানাধীন ভাটিয়াকান্দি এলাকায় বসবাস করত। আসামী আওলাদ হোসেন মাদকাসক্ত ছিল এবং মাদকের টাকার জন্য প্রায়শই সে তার মাকে মারধর ও গালিগালাজ করত।
এরই ধারবাহিকতায় গত ২৬ মে ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যায় গ্রেফতারকৃত আসামী আশুলিয়া থানাধীন ভাটিয়াকান্দীস্থ তার নিজ বাড়ীতে নিহত ভিকটিম সুফিয়া এর নিকট পূর্বের ন্যায় মাদকসেবন এর জন্য টাকা চায়। নিহত ভিকটিম টাকা দিতে রাজি না হলে গ্রেফতারকৃত আসামী তার ঘরে থাকা ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করার ধারালো কাস্তে দ্বারা ভিকটিমকে কোপ দিলে ভিকটিমের গালের বামপাশে ও নাকের উপর গুরুতর জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে। ভিকটিম আত্মরক্ষার্থে চিৎকার করলে বাড়ীর আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে জোড় হয়।
লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে গ্রেফতারকৃত আসামী ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ভিকটিমকে মৃত ঘোষনা করেন। এ সংক্রান্তে ভিকটিমের বড় ছেলে বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
উক্ত, ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করলে র্যাব-৪ এর আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন শরীফবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মো: আওলাদ হোসেন (২৮) কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স